এবার চীনের সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের যৌথ পরীক্ষা চলাবে রাশিয়া। রুশ ভ্যাকসিন এতে আরও দ্রুত বাজারজাত করা যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এদিকে আগস্টে শেষে যেসব চিকিৎসক ভ্যাকসিন নেবেন, তারা হাসপাতালে নয়, বাসাতেই থাকতে পারবেন। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাটি নিতে এরইমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্বব্যাপী যতই সমালোচনা হোক, বসে নেই রাশিয়া সরকার। নিজ দেশের কিছু সংখ্যক গবেষকের কথাতেও ভ্রুক্ষেপ না করিয়েই চলতি মাসেই গণহারে প্রয়োগের সিদ্ধান্তে অটল মস্কো। সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন বাজারে আনতে মরিয়া পুতিন প্রশাসন।
দেশটিতে কাজ করা বাংলাদেশি চিকিৎসকরা বলছেন, আগস্টের শেষ সপ্তাহে আগ্রহী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরই আপাতত দেয়া হবে ভ্যাকসিন। এরপর দেয়া হবে শিক্ষকদের। স্বেচ্ছায় কেউ না নিলে বাধ্যতামূলক করে দেয়া হবে টিকা গ্রহণ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, এই টিকা নিলে কেউ অসুস্থ হবেন না। করতে পারবেন স্বাভাবিক কাজকর্ম। হাসপাতালে নয়, থাকবেন বাসাতেই।
রাশিয়া বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. মো. সাইফুল আলম বলেন, আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রথম ডোজ দেয়া হবে। এই ভ্যাকসিনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনও।
প্রথম দফায় কেবল রুশ চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন শরীরে নেবেন। এরপর বাংলাদেশিরাও এটি নিতে পারবেন। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রবাসীরা।
এক প্রবাসীরা বলেন, রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ অন্য দেশের শিক্ষার্থীরাও খুবই আশাবাদী। আমরা আশা করছি, এই খুব শিগরই আমাদের দেওয়া হবে।
‘স্পুৎনিক-ভি’ ভ্যাকসিনটি নিয়ে চীনের সঙ্গে কাজ করবে রাশিয়া। এতে বাজারজাত আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। আর দ্রুতই ভ্যাকসিনের তথ্য প্রকাশ করা হবে আন্তর্জাতিক জার্নালে।